Skip to main content

কিভাবে গুগল ড্রাইভ (Google Drive) ব্লগ হোস্টিং হিসেবে ব্যবহার করবেন

 হোস্টিং কি তা আমরা যারা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করি বা অনলাইন এ বেশ খুঁটিনাটি কিছু জানি বা জানা আছে, তাদের অজানা নয়। তবে যারা একদম নতুন তাদের জন্য এই পোস্টটি বিস্তারিত ভাবে জানতে সাহায্য করবে।


হোস্টিং কি? 

ধরুন আপনি একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার বা সদ্য ওয়েবসাইট ডিজাইন শেখা শুরু করেছেন অথবা একটি ওয়েবসাইট বানানো শুরু করেছেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট এর ফাইলগুলো আপনি যে ওয়েব সার্ভারে আপলোড করবেন তাকেই সাধারণ হোস্টিং বলা হয়। অথাৎ আরো সহজ ভাবে বলতে পারি- আমরা যেমন মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডে বিভিন্ন গান, ছবি, মুভি ইত্যাদি ডাউনলোড অথবা ট্রা্ন্সফার এর মাধ্যমে তুলে রাখি, ঠিক এই মেমোরিকেই ওয়েবসাইট এর হোস্টিং বলা হয়। অরো সহজ ভাবে কম্পিউটার এর যেমন হার্ডডিক্স ঠিক তেমনি যেকোন ওয়েবসাইট এর হোস্টিং একই। 

এই হোস্টিং মূলত বিভিন্ন হোস্টিং সেবাদানকারী কোম্পানী তাদের নির্ধারিত ফি এর মাধ্যমে হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে। তবে এই হোস্টিং ফি তেও ব্যবহার করা যায়। গুগল একটি জিমেইল একাউন্ট এর সাথে ১৫ জিবি গুগল ডাইভ ফি দিয়ে থাকে। সেটা হোস্টিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

গুগল ডাইভ (Google Drive) হোস্টিং হিসেবে ব্যবহার করবেন কিভাবে: 

গুগল ডাইভ কে হোস্টিং হিসেবে ব্যবহার  করতে প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হলো একটি ডিমেইল একাউন্ট। অথাৎ গুগল ডাইভ এক্সেস করতে হলে একটি জিমেইল একাউন্ট প্রয়োজন। ধরুন আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট আছে। তাহলে এবার আপনি কিভাবে গুগল ড্রাইভ কে হোস্টিং হিসেবে ব্যবহার করবেন ?

প্রথমে জিমেইল একাউন্ট লগইন করুণ। এরপর আপনি আপনার জিমেইল এর গুগল ড্রাইভ ওপেন করুন। অথাৎ নিচের চিত্রে প্রদর্শিত স্থানে ক্লিক করুন। তাহেলে আপনার গুগল ড্রাইভ ওপেন হয়ে যাবে। 


গুগল ড্রাইভ ওপেন হওয়ার পর এবার আপনি কি হোস্ট করবেন সেটা নির্ধারণ করুণ। যেমন আমি একটি ছবি হোস্ট করবো। তো এবার নিচের চিত্রে নির্ধেশিত স্থান অথাৎ Fill Upload বাটনে ক্লিক করে হোস্ট করার জন্য যে ছবিটি নির্বাচিত করেছি সেটা আপলোড করবো। অথবা চিত্রে নির্দেশিত স্থানে ক্লিক করে ছবি আপলোড করুণ। 



এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো যতক্ষণ না ছবিটি আপলোড হয়।

ছবিটি আপলোড হওয়ার পর এবার আপলোডকৃত ছবিতে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করুণ। তারপর Share নামের যে অপশনটি আছে সেটাতে ক্লিক করুণ। অথবা নিচে চিত্রের নির্দেশিত Follow করুন। 



আপলোডকৃত ছবির উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে চিত্রে প্রদর্শিত Share বাটনে ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মতো একটি স্কিন দেখতে পাবেন। এবার চিত্রে মার্ক করা Advanced অপশনটিতে ক্লিক করুন। 


Advanced বাটনে ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মতো একটি স্কিন ওপেন হবে। এবার চিত্রে মার্ক করা Change অপশনে  ক্লিক করুণ। 


তারপর নিচের মতো একটি ইন্টারফেস বা উইনড্রোজ ওপেন হবে। এবার Red Mark করা On Public on the web বাটনে ক্লিক করে Allow করে নিচের Save বাটনে ক্লিক করুণ। 

এবার পুনরায় আপলোডকৃত ছবির উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Share বাটনে ক্লিক করুন। দেখবেন নিচের মতো একটা উইনড্রোজ ওপেন হয়েছে। এবার মার্ক করা লিংকটি কপি করে নিন। 


কপি করা লিংকটি ব্রাউজারে একটি নিউ ট্যাব নিয়ে Past করে Enter করুন। 

এবার ব্রাউজারে নিচের চিত্রের মতো আপনার আপলোডকৃত ছবিটি দেখতে পাবেন এবং উপরের Url টি নতুন ভাবে কপি করে নিন। 


এবার আপনি কোথায় ছবিটি হোস্ট করবেন সেখানে যান। যেমন আমি ছবিটি ব্লগ এ হোস্ট বা আপলোড করবো। তো এবার আমি ব্লগ পোস্টে গিয়ে আমি পূর্বের কপি করা Url টা past করি। Follow me


Url টি Past করার পর দেখুব ছবিটি চলে এসেছে। এভাবে গুগল ড্রাইভ এ আপনি চাইলে অনেককিছু বা অনেক ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারেন। গুগল ড্রাইভ এ ১৫ জিপি ফি জায়গা দেওয়া হয়। ইচ্ছে করলে আপনি কয়েকটা ইমেইল একাউন্ট খুলে ১৫ জিবি করে ফি হোস্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ করে ইমেজ ফাইলগুলো। এভাবেই ‍গুগল ডাইভ কে ফি ব্লগ হোস্টিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

Comments

Popular posts from this blog

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড ও উপায় (দুটি পদ্ধতিতে)

বাংলালিংক হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা একটি বৃহৎ মোবাইল সিম অপারেটর কোম্পানী। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রায় ৭০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনই একাধিক সিম কোম্পানীর সিম কার্ড ব্যবহার করেন। অনেকেই আছেন অন্যান্য দেশীয় সিম অথবা অন্য যে কোন কোম্পানীর সিম ব্যবহার করেন, পাশাপাশি একটি বাংলালিংক সিম কার্ডও ব্যবহার করেন। অনেক সময় এই সিমকার্ড বন্ধ থাকার কারণে উক্ত সিম কার্ড এর নাম্বার আমরা ভুলে যাই। তখন আমড়া বিড়ম্বনায় পড়ে যাই এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হই। আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো পুরানো বা বন্ধ সিম অথবা ভুলে যাওয়া বাংলালিংক সিম কার্ড এর নম্বর আমরা কিভাবে দেখতে পারি।  বাংলালিংক নাম্বার চেক আপনারা  যারা বাংলালিংক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা দুটি পদ্ধতিতে বাংলালিংক নাম্বার চেক করতে পারবেন। তার একটি হচ্ছে ডায়েল কোড এবং অন্যটি হচ্ছে কল দিয়ে। ডায়েল কোড এবং কল দিলে দুটি উপায়েই বাংলালিংক নাম্বার চেক করা যাবে। কিভাবে আপনি ডায়েল কোড ও কল দিয়ে নাম্বার চেক করতে পারবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো। বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড বাংলালিংক নাম্বার চেক করার যতগুলো পদ্ধতি

17 Easy Remote Jobs You Can Start Today (With No Experience)

With the rise of remote work, more and more people are looking for opportunities to work from home. However, finding a remote job that doesn't require prior experience can be challenging. That's why we've compiled a list of 17 easy remote jobs that you can start today, even if you don't have any experience. These jobs range from customer service to data entry to virtual assistance and more. They are perfect for those who want to work from home, have flexible schedules, and don't want to spend years studying or training for a new career. With the right skills and a willingness to learn, anyone can start these jobs and earn a decent income from the comfort of their own home. Understanding Remote Work Remote work is a work arrangement where an employee works outside the traditional office environment. This can be from home, a co-working space, or any location with a stable internet connection. Remote work is becoming increasingly popular, and

সোলার প্যানেল (Solar Panel) ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা ও দাম

সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়িনিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প মাধ্যম। কম বেশি আমরা সবাই জানি সোনাল প্যানেল সূর্যের তাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। সোলার প্যানেল যেমন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা আছে, তেমনি আবার এটি ব্যবহারে বেশ অসুবিধাও রয়েছে। এটি ব্যবহার বা কিনতে হলে কত টাকার প্রয়োজন হবে; আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।  সোলার প্যানেল (Solar Panel) কি? সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়নিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্নের বিকল্প একটি মাধ্যম। অথাৎ সূর্য্যের তাপ কে ফটোভোলটাইক এ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার মাধ্যমই হলো সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেল শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলোকে শোষণ করে। সোলার প্যানেল সূর্যের তাপশক্তি শোষণ করে বৈদ্যুতিক প্রবাহ  তৈরি করে। মূলত একটি গ্লাস লেয়ারের সাথে ইন্সুলেট লেয়ার এবং প্রতিরক্ষামূলক সীট এর সমন্বয়ে সোলার প্যানেল তৈরি হয়। যার উপর সূর্যের আলো পড়ে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অথাৎ এক কথায় আমরা বলতে পারি সূর্যের তাপের সৌরশক্তি শোষণ করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে এই সোলার সিস্টেম।  সোলার প্যানেল কত প্রকার? সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনই হলো স