Skip to main content

কীভাবে সঠিক ডোমেইন (Domain) নাম নির্বাচন করবেন

Domain Name বাছাই করার আগে বেশ কিছু বিষয় জানা খুবই দরকার। তবে প্রথমেই জানতে হবে ডোমেইন জিনিসটা আসলে কি? এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানাতে চেষ্টা করবো ডোমেইন কি এবং এটি বাছাই এ কি কি বিষয় জানা জরুরী। 


ডোমেইন কি ?

ডোমেইন হচ্ছে কোন একটা ওয়েবসাইট এর নাম বা ঠিকানা বলা যেতে পারে। যেমন: ধরুন www.tapashkumar.com অথবা www.facebook.com ইত্যাদি। ধরুণ আপনি একটা ব্যবসা করছেন। আপনার সেই ব্যবসার নিশ্চয় একটি নাম আছে। অথবা ধরুন আপনার একটি দোকান আছে। তাহলে সেই দোকানের নিশ্চয় একটা নাম আছে। ঠিক তেমনি আপনার সেই ব্যবসাটি যদি অনলাইন ভিত্তিক হয় তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। আর সেই ওয়েব সাইট এর নামটাই হলো Domain নাম। 

ডোমইন এর গঠন:

ডোমেইন রেজিষ্টার করার পূর্বে অবশ্যই এর গঠন সম্পর্কে আমাদের সুষ্পষ্ট একটা ধারণা থাকতে হবে। এই সুষ্পষ্ট ধারণার মধ্যে ডোমেইন এর দৈর্ঘ্য ৈএবং অনুমোদিত অক্ষর উল্লেখযোগ্য। নিম্নে দৈর্ঘ্য এবং অনুমোদিত অক্ষর আলোচনা করা হলো। 

দৈর্ঘ্য: 

ডোমেইন নাম রেজিষ্টারের একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য রয়েছে। অথাৎ আপনি চাইলেই নিজের ইচ্ছে মত দৈর্ঘ্য এর কোন ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে পারবেন না। আর এই দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬৩ অক্ষর। অথাৎ আপনাকে সর্বোচ্চ ৬৩ অক্ষর এর মধ্যে ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে হবে। 

অনুমোদিত অক্ষর: 

অনুমোদিত অক্ষর বলে কোন কোন অক্ষর ডোমেইন নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনুমোদিত আছে তাকে বোঝায়। ছোট হাতের অক্ষর a থেকে z এর মধ্যে সবগুলোই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। আবার অক্ষর a থেকে z এর সাথে 0 থেকে 9 পর্যন্ত সংখ্যাসূচকও চাইলে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। অথাৎ a থেকে z এবং 0 থেকে 9 সংখ্যাগুলোর সমন্বয়েই আপনাকে ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে হবে। তবে আপনি চাইলে ডোমেইন নামের মাঝখানে (-) ড্যাশ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ডোমেইল নেম অবশ্যই অ্যালফানিউমেরিক অক্ষর দিয়ে শুরু এবং শেষ করতে হবে। অথাৎ মাঝে শুধুমাত্র (-) ড্যাশ ব্যবহার করা যাবে কিন্তু শেষে ব্যবহার করা যাবে না  এবং সবোচ্চ অক্ষর 6 এর মধ্যে থাকতে হবে। 

ডোমেইন নামের অংশ পরিচিতি: 

ডোমেইন নামের সাধারণ দুটি অংশ থাকে। একটি হচ্ছে নাম এবং অন্যটি হচ্ছে এক্সটেনশন। যেমন: www.tapashkumar.com এখানে www হচ্ছে হোস্ট ডোমেইন এর নাম অংশটি হলো tapashkumar এবং এক্সটেনশন অংশটি হলো .com মানে এক্সটেনশন। এই এক্সটেনশন বিভিন্ন ধরনের  হয়ে থাকে। যেমন- .com, .net, .info, .co, .us, .online, .org, .xyz ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক এক্সটেনশন আছে। 

ডোমেইন এর ধরণ সমূহ: 

ডোমেইন এর বেশ কিছু ধরণ রয়েছে। যেমন- TLD, gTLD, SLD ccTLD ইত্যাদি। 

TLD: 

TLD এর হেলো Top Level Domain. এই TLD ডোমেইন হলো অনলাইন বা ইন্টারনেটে ডোমেইন নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্তরের ডোমেইন নামের বিভাগ। এ ধরনের এক্সটেনশন এর ডোমেইন নাম সচরাচর বেশি লক্ষ্য করা যায়। যেমন- .com, .net, .org, .info এগুলো হলো Top Level Domain. 

SLD: 

SLD Domain হলো সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন। অথাৎ এই ডোমেইন নামটি দ্বারা কোন ব্যান্ড অথবা প্রতিষ্ঠান বোঝানো হয়ে থাকে। যেমন google.com এখানে গুগল একটি ব্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান। 

gTLD : 

Generic Top Level ডোমেইন হলো gTLD ডোমেইন। যেমন- .com, .net, .org, .info এগুলো gTLD ডোমেইন। কিন্তু এগুলো কোন দেশের সাথে যুক্ত নয়। 

ccTLD : 

Country Code Top Level Domain হলো ccTLD ডোমেইন। অথাৎ কোন ডোমেইন নামের শেষের অংশে কোন দেশের ২টি অক্ষর যুক্ত হয়ে যে ডোমেইন হয় সেটি হলো ccTLD ডোমেইন। যেমন আমাদের বাংলাদেশের ডোমেইন নামের এক্সটেনশন হলো .bd অথাৎ আমাদের ডোমেইন টি যদি ccLTD তে রেজিষ্টার করা হয় তাহলে দাড়াতে www.tapashkumar.com.bd এরকম। 

ডোমেইন নাম বাছাই এর পূর্বে বিবেচ্য বিষয়: 

কি ধরনের ডোমেইন নাম বাছাই করবেন সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনার সুষ্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক। নিম্নে ডোমেইন নাম বাছাই এর পূর্বের বিবেচ্য বিষয় সমূহ আলোচনা করা হলো। 

ডোমেইন এক্সটেনশন বাছাই এ প্রাধান্যতা: 

প্রথমেই বলবো .com ডোমেইন এক্সটেনশনকে প্রাধান্য দিন। অনলাইন ভিত্তিক মানুষ প্রধমে .com, .net, .org ডোমেইন নামের সাথেই বেশি পরিচিত ছিল বা আছে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমার সাথে সাথে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের এক্সটেনশন চলে এসেছে। ইচ্ছে করলে এখন যেকোন নামের ই এক্সটেনশন ব্যবহার করা যায়। তবে .com এক্সটেনশন খুব সহজেই মনে রাখা যায়। আর তাছাড়া সাধারণ মানুষ একটা ওয়েবসাইট এর কথা বললেই সে নামের পিছনে .com আছে স্বাভাবিক ভাবেই হোক আর না জেনেই হোক এটাই ধরে নেয়। তাই ডোমেইন এক্সটেনশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে .com কেই ্প্রাধান্য দিন। 

সহজ নাম নির্বাচন:

সহজ বলতে বোঝায় যা সহজে লেখা যায় বা টাইপ করা যায়। তবে শুধু সহজ এর কথা চিন্তা করলেই হবে না। আপনি যেই ধরনের তথ্য সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট বানাতে চান সেই বিষয়টাকেও গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। 

ছোট নাম নির্বাচন: 

ছোট সবকিছুই ভালো। তাই এক্ষেত্রেও ছোটই ভালো। কারণ ছোট কিছু সব সময় মনে রাখা যায়। ডোমেইন নামটা যদি বড় এবং জটিল হয় তাহলে মনে রাখাও কষ্টকর। তাই লিখলেও ভুল হতে পারে। সেজন্য ডোমেইন নাম বাছাই করার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ছোট অক্ষর ব্যবহার করা উচিত। সম্ভব হলে ৮-১০ অক্ষর এর মধ্যে রাখা ভালো। 

সিম্ভল ক্যারেক্টার ব্যবহার না করা: 

ডোমেইন নাম নির্বাচনের সময় অবশ্যই সিম্বল ক্যারেক্টার ব্যবহার না উচিত নয়। এক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ডোমেইন নাম এর মাঝে (-) ড্যাশ বা হাইপেন ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ ড্যাশ (হাইপেন) ব্যবহার করলে অনেক সময়ই দেখা যায় ভিজিটররা এটি ভুল করে সার্চ করে থাকেন। 

কিওয়ার্ড দিয়ে ডোমেইন নাম নির্বাচন না করা: 

ডোমেইন নাম নির্বাচনের আগে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ডোমেইন নামের মধ্যে মেইন কিওয়ার্ড না থাকে। ডোমেইন নাম এর মধ্যে মেইন কিওয়ার্ড রাখলে সেটাকে EMD বলা হয়। বর্তমানে গুগল কিছু কিছু ক্ষেত্রে EMD কে প্রাধান্য দিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাধান্য দেয় না। তাই ডোমেইন নাম নির্বাচনের সময় মেইন কিওয়ার্ড দিয়ে ডোমেইন নাম নির্বাচন না করাই ভালো। 

নিজস্ব বিষয়বস্তু নিশ্চিতকরণ: 

ডোমেইন নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজস্ব বিষয়বস্তু নিশ্চিত করেই নির্বাচন করা উচিত। অথাৎ আপনি যদি ব্যবসা নির্ভর ওয়েব সাইট করেন তাহলে আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম অথবা কোন প্রতিষ্ঠান হলে সে প্রতিষ্ঠানের নাম নিশ্চত করেই ডোমেইন নাম নির্বাচন করা উচিত। 

শেষ কথা: 

উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও ইচ্ছে করলে যা তা নাম নির্বাচন করাও সম্ভব। কারণ একবার কেউ একটা ডোমেইন নাম রেজিষ্টার করে ফেললে সেটি আর কেউ রেজিষ্টার করতে পারে না। তবে একই নামে আলাদা এক্সটেনশন রেজিষ্টার করা যায় যদি না কেউ সেটিও রেজিষ্টার না করে থাকে। আপনার যদি ভবিষ্যতে ইচ্ছে থাকে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তাহলে আর দেরি না করে খুব দ্রুতই আপনার পছন্দের নামটি এবং এক্সটেনশনটি রেজিষ্টার করে রাখুন। নয়তো ভবিষ্যতে সেই ডোমেইন নাম অথবা এক্সটেনশনটি আপনি নাও পেতে পারেন। 

Comments

Popular posts from this blog

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড ও উপায় (দুটি পদ্ধতিতে)

বাংলালিংক হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা একটি বৃহৎ মোবাইল সিম অপারেটর কোম্পানী। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রায় ৭০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনই একাধিক সিম কোম্পানীর সিম কার্ড ব্যবহার করেন। অনেকেই আছেন অন্যান্য দেশীয় সিম অথবা অন্য যে কোন কোম্পানীর সিম ব্যবহার করেন, পাশাপাশি একটি বাংলালিংক সিম কার্ডও ব্যবহার করেন। অনেক সময় এই সিমকার্ড বন্ধ থাকার কারণে উক্ত সিম কার্ড এর নাম্বার আমরা ভুলে যাই। তখন আমড়া বিড়ম্বনায় পড়ে যাই এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হই। আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো পুরানো বা বন্ধ সিম অথবা ভুলে যাওয়া বাংলালিংক সিম কার্ড এর নম্বর আমরা কিভাবে দেখতে পারি।  বাংলালিংক নাম্বার চেক আপনারা  যারা বাংলালিংক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা দুটি পদ্ধতিতে বাংলালিংক নাম্বার চেক করতে পারবেন। তার একটি হচ্ছে ডায়েল কোড এবং অন্যটি হচ্ছে কল দিয়ে। ডায়েল কোড এবং কল দিলে দুটি উপায়েই বাংলালিংক নাম্বার চেক করা যাবে। কিভাবে আপনি ডায়েল কোড ও কল দিয়ে নাম্বার চেক করতে পারবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো। বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড বাংলালিংক নাম্বার চেক করার যতগুলো পদ্ধতি

17 Easy Remote Jobs You Can Start Today (With No Experience)

With the rise of remote work, more and more people are looking for opportunities to work from home. However, finding a remote job that doesn't require prior experience can be challenging. That's why we've compiled a list of 17 easy remote jobs that you can start today, even if you don't have any experience. These jobs range from customer service to data entry to virtual assistance and more. They are perfect for those who want to work from home, have flexible schedules, and don't want to spend years studying or training for a new career. With the right skills and a willingness to learn, anyone can start these jobs and earn a decent income from the comfort of their own home. Understanding Remote Work Remote work is a work arrangement where an employee works outside the traditional office environment. This can be from home, a co-working space, or any location with a stable internet connection. Remote work is becoming increasingly popular, and

সোলার প্যানেল (Solar Panel) ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা ও দাম

সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়িনিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প মাধ্যম। কম বেশি আমরা সবাই জানি সোনাল প্যানেল সূর্যের তাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। সোলার প্যানেল যেমন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা আছে, তেমনি আবার এটি ব্যবহারে বেশ অসুবিধাও রয়েছে। এটি ব্যবহার বা কিনতে হলে কত টাকার প্রয়োজন হবে; আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।  সোলার প্যানেল (Solar Panel) কি? সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়নিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্নের বিকল্প একটি মাধ্যম। অথাৎ সূর্য্যের তাপ কে ফটোভোলটাইক এ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার মাধ্যমই হলো সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেল শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলোকে শোষণ করে। সোলার প্যানেল সূর্যের তাপশক্তি শোষণ করে বৈদ্যুতিক প্রবাহ  তৈরি করে। মূলত একটি গ্লাস লেয়ারের সাথে ইন্সুলেট লেয়ার এবং প্রতিরক্ষামূলক সীট এর সমন্বয়ে সোলার প্যানেল তৈরি হয়। যার উপর সূর্যের আলো পড়ে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অথাৎ এক কথায় আমরা বলতে পারি সূর্যের তাপের সৌরশক্তি শোষণ করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে এই সোলার সিস্টেম।  সোলার প্যানেল কত প্রকার? সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনই হলো স