Skip to main content

জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করবেন যেভাবে ((নতুন নিয়ম ২০২৩))

জন্ম নিবন্ধন হলো কোন সন্তানের জন্ম অনলাইন ডাটাবেজ এ সংরক্ষণকৃত একটি সনদ। অথাৎ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এটি নিবন্ধন করে থাকে। সাধারণত জন্মের ৪০ দিনের মধ্যে এই নিবন্ধন সম্পূর্ণ ফি সেবা। এর পরবর্তীতে এটি একটি সামান্য ফি এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। জন্মনিবন্ধন করা ্প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক। 



জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল বলতে বোঝায় যে নিবন্ধনটি অনলাইন ডাটাবেজ এ রয়েছে তাকে। অথাৎ পূর্বে যখন অফলাইন অথাৎ নথি সংরক্ষণের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হলো তাকে এনালগ জন্ম নিবন্ধন বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে এই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন এর আওতায় আনা হযেছে। অথাৎ যেসকল নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ এ রয়েছে সেগুলো মূলত ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ। 

জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম:

আপনার যদি একটি জন্ম নিবন্ধন থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমে সেটি অনলাইন সার্ভার এ আপনার নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে সেটি চেক করতে হবে। যদি আপনার সকল তথ্যাদি অনলাইন সার্ভারে প্রদর্শিত হয় তাহলে আপনার জন্মনিবন্ধনটি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন। অথাৎ আপনাকে আর কিছুই করতে হবে না। তবে বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর স্থানীয় সরকার বিভাগ এই জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজাইন পরিবর্তন করায় আপনাকে আপনার স্থানীয় ্ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে একটি নতুন ডিজাইন এর সার্টিফিকেট প্রিন্ট করে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করে সংগ্রহ করতে হবে। আর যদি আপনার কোন তথ্য সার্ভারে না থাকে তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নয়। অথাৎ তখন আপনাকে অনলাইন সার্ভারে নতুন জন্মনিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে পূর্বের হস্তলিখিত জন্মনিবন্ধনটি আবেদনের সময় ক্যান আকারে দাখিল করতে হবে। তারপর আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে উক্ত আবেদনের সনদ সংগ্রহ করতে হবে। 

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম: 

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কেন সংশোধন করবেন। আপনি যদি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সার্ভারে চেক করে দেখেন যে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সহিত অনলাইন সার্ভারে কোন মিল নেই তাহলে আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি সংশোধন করতে হবে। এবার আসি কিভাবে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে https://bdris.gov.bd/br/correction গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার বিভাগের এই সার্ভারে প্রবেশ করতে হবে। এর পর আপনাকে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন ট্যাব এ প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ বসিয়ে গো ট্যাব এ প্রবেশ করতে হবে। এখানে আপনার নিজের নাম বাবার নাম ও মাতার নাম দেখিয়ে কিছু তথ্য প্রদর্শন করা হবে। যদি এই তথ্যগুলো পুরোটা অথবা আংশিক আপনার বলে মনে হয় তাহলে এবার সামনে এগোতে হবে। এরপর আপনার সংশোধনী স্কিন প্রদশিত হবে। এবার আপনি যদি আপনার নিজের নাম ভুল থাকে তাহলে আপনার নিজের নাম এর ঘর এ গিয়ে আপনার সংশোধিত তথ্য পুরন করবেন। এরপর যদি নিজের জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম, সন্তানের ক্রম এভাবে বাংলা এবং ইংরেজী উভয় তথ্য ইনপুট করতে পারবেন। এভাবে আপনি আপনার সকল তথ্য পুরন করার পর নিচের দিকে জন্মস্থানের ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা্ এবং স্থায়ী ঠিকানার ঘরগুলো সঠিক ভাবে বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাবেই সঠিক করে পূরণ করুন। 

আপনার সকল তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করা শেষ হলে  নিচের দিকে আসুন। নিচের দিকে আসলে আপনি সংযুক্ত করুন নামক আপলোডের ট্যাব দেখতে পাবেন। এখানে প্রথমে আপনার পূর্বের ভুলেভরা জন্মনিবন্ধনটি ক্যান করে ইস্যু সর্ম্পকিত ফাইল নামক অপশনে আপলোড করুন। 

এরপর আপনি আপনার যে যে তথ্য সংশোধন করেছেন তার বিপরীতে সম্পন্ন প্রমান স্ক্যান করে করে আপলোড করবেন। অথাৎ নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে আপনার নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র,  একাডেমিক সনদ এর কপি, অথবা বিদ্যালয়ের প্রত্যয়নপত্র আপলোড করতে পারেন। অনুরুপ ভাবে আপনার পিতার নাম ও মাতার নাম এর সংশোধনীর জন্য পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র এর কপি ক্যান করে আপলোড করতে পারেন। অথাৎ আপনি যা যা সংশোধন করবেন তার বিপরীতে আপনার প্রমাণক সংযুক্ত করতে হবে। 

এই ধাপগুলো শেষ হলে এবার আপনি নিচের দিকে ফি এর একটি ট্যাব দেখতে পাবেন। ওখানে ফি আদায় এ টিক মার্ক করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। 

এবার আপনার মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদে বার্তা যাবে। অথাৎ ওই বার্তায় আপনার আবেদন এর একটি ট্যাকিং কোড দেওয়া থাকবে। 

এবার আপনি আপনার আবেদন এর একটি প্রিন্ট আউট সংগ্রহ করুন প্রিন্ট নামক ট্যাব এ ক্লিক করে। ব্যস আপনার কাজ শেষ। এবার আপনি আপনার প্রিন্ট আউট কপি নিয়ে আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। ওখানে আপনার প্রিন্ট করা আবেদন ফরমটি সাবমিট করুন। তাহলে সেখানে দায়িত্বরত সচিব অথবা কম্পিউটার অপারেটর আপনার আবেদন এর প্রিন্ট কপি বের করবে। আপনি চাইলে বাংলা এবং ইউরেজি উভয় ভার্সন  ই সংগ্রহ করতে পারেন। তাহলে আপনাকে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পরবর্তীতে যাওয়া লাগবে না। 

জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটাল এর ফি কত: 

জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন এর ফি মূলত ৫০/- টাকা নির্ধারন করা আছে। তবে আপনি যদি আমার জন্ম তারিখ পরিবর্তন অথবা ভুল লিপিবদ্ধ থাকলে তা সংশোধন করেন তাহলে এর ফি ১০০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথাৎ আপনাকে ওই পরিমাণ ফি ইউনিয়ন পরিষদ এ প্রদানের মাধ্যমে তা উত্তোলণ করতে পারবেন। এর বাহিরে আপনার কোন ফি দেওয়া লাগবে না। তবে আপনি যদি উপরোক্ত কাজগুলো নিজে নিজে করতে পারেন তাহলে আপনার আর কোন ফি প্রদান করতে হবে না । আর যদি আপনি উপরোক্ত কাজগুলো নিজে নিজে সম্পন্ন করতে না পারেন তাহলে আপনাকে নিকটস্থ কোন কম্পিউটার দোকানে গিয়ে কাজগুলো সম্পন্ন করে নিতে হবে। এর জন্য ‍ওই কম্পিউটার অপারেটর কে তার পারিশ্রমিক দিতে হবে। অনেক দোকানে এর ফি ৫০/- টাকা থেকে ১০০/- টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। 

এভাবে আপনি খুব সহজেই নিজের ভুলে ভরা জন্ম নিবন্ধন খুব সহজে সংশোধন করে নিতে পারেন। অথবা আপনার বাংলা ভার্সন এর জন্মনিবন্ধন সনদটি বাংলা ভার্সনের পাশাপাশি ইংরেজী ভার্সনেও করে নিতে পারেন। এ বিষয়ে আর কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যত দ্রুত সম্ভব আপনার জিজ্ঞাসা জানানোর চেষ্টা করবো। 

Comments

Popular posts from this blog

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড ও উপায় (দুটি পদ্ধতিতে)

বাংলালিংক হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা একটি বৃহৎ মোবাইল সিম অপারেটর কোম্পানী। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রায় ৭০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনই একাধিক সিম কোম্পানীর সিম কার্ড ব্যবহার করেন। অনেকেই আছেন অন্যান্য দেশীয় সিম অথবা অন্য যে কোন কোম্পানীর সিম ব্যবহার করেন, পাশাপাশি একটি বাংলালিংক সিম কার্ডও ব্যবহার করেন। অনেক সময় এই সিমকার্ড বন্ধ থাকার কারণে উক্ত সিম কার্ড এর নাম্বার আমরা ভুলে যাই। তখন আমড়া বিড়ম্বনায় পড়ে যাই এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হই। আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো পুরানো বা বন্ধ সিম অথবা ভুলে যাওয়া বাংলালিংক সিম কার্ড এর নম্বর আমরা কিভাবে দেখতে পারি।  বাংলালিংক নাম্বার চেক আপনারা  যারা বাংলালিংক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা দুটি পদ্ধতিতে বাংলালিংক নাম্বার চেক করতে পারবেন। তার একটি হচ্ছে ডায়েল কোড এবং অন্যটি হচ্ছে কল দিয়ে। ডায়েল কোড এবং কল দিলে দুটি উপায়েই বাংলালিংক নাম্বার চেক করা যাবে। কিভাবে আপনি ডায়েল কোড ও কল দিয়ে নাম্বার চেক করতে পারবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো। বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড বাংলালিংক নাম্বার চেক করার যতগুলো পদ্ধতি

17 Easy Remote Jobs You Can Start Today (With No Experience)

With the rise of remote work, more and more people are looking for opportunities to work from home. However, finding a remote job that doesn't require prior experience can be challenging. That's why we've compiled a list of 17 easy remote jobs that you can start today, even if you don't have any experience. These jobs range from customer service to data entry to virtual assistance and more. They are perfect for those who want to work from home, have flexible schedules, and don't want to spend years studying or training for a new career. With the right skills and a willingness to learn, anyone can start these jobs and earn a decent income from the comfort of their own home. Understanding Remote Work Remote work is a work arrangement where an employee works outside the traditional office environment. This can be from home, a co-working space, or any location with a stable internet connection. Remote work is becoming increasingly popular, and

সোলার প্যানেল (Solar Panel) ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা ও দাম

সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়িনিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প মাধ্যম। কম বেশি আমরা সবাই জানি সোনাল প্যানেল সূর্যের তাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। সোলার প্যানেল যেমন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা আছে, তেমনি আবার এটি ব্যবহারে বেশ অসুবিধাও রয়েছে। এটি ব্যবহার বা কিনতে হলে কত টাকার প্রয়োজন হবে; আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।  সোলার প্যানেল (Solar Panel) কি? সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়নিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্নের বিকল্প একটি মাধ্যম। অথাৎ সূর্য্যের তাপ কে ফটোভোলটাইক এ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার মাধ্যমই হলো সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেল শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলোকে শোষণ করে। সোলার প্যানেল সূর্যের তাপশক্তি শোষণ করে বৈদ্যুতিক প্রবাহ  তৈরি করে। মূলত একটি গ্লাস লেয়ারের সাথে ইন্সুলেট লেয়ার এবং প্রতিরক্ষামূলক সীট এর সমন্বয়ে সোলার প্যানেল তৈরি হয়। যার উপর সূর্যের আলো পড়ে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অথাৎ এক কথায় আমরা বলতে পারি সূর্যের তাপের সৌরশক্তি শোষণ করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে এই সোলার সিস্টেম।  সোলার প্যানেল কত প্রকার? সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনই হলো স