Skip to main content

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার উপায় (নতুন নিয়ম)

ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য এখন অনলাইনে খুব সহজেই চেক করতে পারবেন। মোবাইল ফোন এর মাধ্যমেও চেক করা যাবে আবার কম্পিউটার ব্রাউজার ব্যবহার করেও ছবি সহ ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যাবে। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে কয়েক পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে। পুরাতন বা নতুন সকল ধরনের ভোটার আইডি কার্ডই চেক করা যাবে এই পদ্ধতিগুলোতে। 



বর্তমানে যারা নতুন ভোটার হচ্ছেন তাদের এখন আর নির্বাচনী অফিস থেকে সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে না। তাদেরকে মূলক স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্যই লেমিনেটিং করা কার্ডটি আর প্রদান করা হচ্ছে না। তবে তাদের বর্তমান কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য অনলাইন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। অথাৎ অলনাইন খুলে দেওয়া হয়েছে যাতে নতুন ভোটারগণ তাদের ভোটার আইডিকার্ড অনলাইন থেকে তুলে নিতে পারেন। উল্লেখ্য পুরাতন ভোটারগণ এই কার্ড ডাউনলোড এর সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের এই সুযোগটি নিতে হলে কোন একটি ক্যাটাগরিতে গিয়ে আবেদন ফি প্রদান সাপেক্ষে অনলাইন আবেদন করে এই সার্ভার খুলে নিতে পারেন। 

ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন কিভাবে?

অনলাইনে ভোটার আইডি চেক করা খুবই সহজ।আজকে তিনটি পদ্ধতি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। 
প্রথমত, অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনি মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ব্রাউজার ব্যবহার করে services.nidw.gov.bd ভিজিট করুণ। এরপর আপনার যদি ‍পূর্বে থেকে নিবন্ধন করা না থাকে তাহলে নিবন্ধন করে প্রবেশ করুণ। আর পূর্বে থেকে নিবন্ধন করা থাকলে শুধু মাত্র আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও আপনার ফেস দিয়ে লগইন করুন। তাহলেই আপনার ভোটার আইডি চেক করতে পারবেন। 

দ্বিতীয়ত, অনলাইনে ভোটার আইডি চেক করার জন্য land.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। এটি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। বাংলাদেশ সরকারের সকল ওয়েবসাইট ই প্রায় একটি আরেকটির সাথে কানেটটেড করা। আর বর্তমানে জমি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রাদির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেতে নামজারীর ক্ষেত্রে ভোটার আইডি সার্ভার কানেক্ট করা হয়েছে। এখানে আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, নিজের জন্ম তারিখ এবং একটি সচল মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আপনার ভোটার আইডি চেক করতে পারেন। 

তৃতীয়ত, ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য অনলাইনে দেখার আরো একটি সহজ পদ্ধতি হলো www.mygov.bd ভিজিট করা। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এ টু আই প্রকল্পের একটি ওয়েব সার্ভার। এই সার্ভারটিও ভোটার আইডির সার্ভারের সাথে কানেক্টেড করা। এখানে সরকারি বিভিন্ন সেবার আবেদন করা যায়। এটি ব্যবহার করতে প্রথমে এখানে একটি ইউজার তৈরি করতে হয়। আর ইউজার তৈরি করা খুবই সহজ। একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়েই ইউজার তৈরি করা যায়। তারপর প্রোফাইল অপশনে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি নম্বর দিলেই সকল তথ্য দেখানো হয়। এমনকি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবিও দেখানো হয়। 

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে চান। তাহলে আপনাকে ভিজিট করতে হবে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইট এ। শুধুমাত্র নতুন ভোটাররাই ভোটার আইড কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। পুরাতনদের মধ্যে যারা কার্ড হারিয়ে, ঠিকানা পরিবর্তন অথবা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন কার্ড এর আবেদন করেছেন শুধুমাত্র তারাই কার্ড এর অনলাইন কপি নিতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে উক্ত ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করে লগইন করতে হবে। এরপর আপনাকে ডাউনলোড ট্যাব এ ক্লিক করলেই আপনার কার্ড এর অনলাইন কপি পেয়ে যাবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার উপায়?

ভোটার আইড কার্ডে অনেকেরই ভুল রয়েছে। আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করে লগইন করতে হবে। এরপর আপনার প্রোফাইল ট্যাব এ প্রবেশ করতে হবে। এবার বাম পার্শ্বের উপরের দিকে এডিট ট্যাব এ প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনার যা যা সংশোধন প্রয়োজন সেগুলো সংশোধন করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে। এবার আপনাকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ শেষে আপনার সংশোধনীগুলোর স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমানক সংযুক্ত করেত হবে। তারপর সাবমিট করতে হবে। এরপর কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি যাচাই বাছাই অন্তে মঞ্জুরীর হয়েছে কিনা তা একটি ক্ষুদে মোবাইল বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। তখন আপনি আপনার নতুন কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

শেষ কথা: 

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো থেকে আপনি চাইলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন। তবে ভোটার আইড কার্ড চেক করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো services.nidw.gov.bd থেকে ভেরিফাই করে চেক করা। তাছাড়াও উপরের আলোচিত সার্ভার গুলো থেকেও আপনি চাইলে চেক করে নিতে পারেন। 

Comments

Popular posts from this blog

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড ও উপায় (দুটি পদ্ধতিতে)

বাংলালিংক হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা একটি বৃহৎ মোবাইল সিম অপারেটর কোম্পানী। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রায় ৭০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনই একাধিক সিম কোম্পানীর সিম কার্ড ব্যবহার করেন। অনেকেই আছেন অন্যান্য দেশীয় সিম অথবা অন্য যে কোন কোম্পানীর সিম ব্যবহার করেন, পাশাপাশি একটি বাংলালিংক সিম কার্ডও ব্যবহার করেন। অনেক সময় এই সিমকার্ড বন্ধ থাকার কারণে উক্ত সিম কার্ড এর নাম্বার আমরা ভুলে যাই। তখন আমড়া বিড়ম্বনায় পড়ে যাই এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হই। আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো পুরানো বা বন্ধ সিম অথবা ভুলে যাওয়া বাংলালিংক সিম কার্ড এর নম্বর আমরা কিভাবে দেখতে পারি।  বাংলালিংক নাম্বার চেক আপনারা  যারা বাংলালিংক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা দুটি পদ্ধতিতে বাংলালিংক নাম্বার চেক করতে পারবেন। তার একটি হচ্ছে ডায়েল কোড এবং অন্যটি হচ্ছে কল দিয়ে। ডায়েল কোড এবং কল দিলে দুটি উপায়েই বাংলালিংক নাম্বার চেক করা যাবে। কিভাবে আপনি ডায়েল কোড ও কল দিয়ে নাম্বার চেক করতে পারবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো। বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড বাংলালিংক নাম্বার চেক করার যতগুলো পদ্ধতি

17 Easy Remote Jobs You Can Start Today (With No Experience)

With the rise of remote work, more and more people are looking for opportunities to work from home. However, finding a remote job that doesn't require prior experience can be challenging. That's why we've compiled a list of 17 easy remote jobs that you can start today, even if you don't have any experience. These jobs range from customer service to data entry to virtual assistance and more. They are perfect for those who want to work from home, have flexible schedules, and don't want to spend years studying or training for a new career. With the right skills and a willingness to learn, anyone can start these jobs and earn a decent income from the comfort of their own home. Understanding Remote Work Remote work is a work arrangement where an employee works outside the traditional office environment. This can be from home, a co-working space, or any location with a stable internet connection. Remote work is becoming increasingly popular, and

সোলার প্যানেল (Solar Panel) ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা ও দাম

সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়িনিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প মাধ্যম। কম বেশি আমরা সবাই জানি সোনাল প্যানেল সূর্যের তাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। সোলার প্যানেল যেমন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা আছে, তেমনি আবার এটি ব্যবহারে বেশ অসুবিধাও রয়েছে। এটি ব্যবহার বা কিনতে হলে কত টাকার প্রয়োজন হবে; আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।  সোলার প্যানেল (Solar Panel) কি? সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়নিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্নের বিকল্প একটি মাধ্যম। অথাৎ সূর্য্যের তাপ কে ফটোভোলটাইক এ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার মাধ্যমই হলো সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেল শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলোকে শোষণ করে। সোলার প্যানেল সূর্যের তাপশক্তি শোষণ করে বৈদ্যুতিক প্রবাহ  তৈরি করে। মূলত একটি গ্লাস লেয়ারের সাথে ইন্সুলেট লেয়ার এবং প্রতিরক্ষামূলক সীট এর সমন্বয়ে সোলার প্যানেল তৈরি হয়। যার উপর সূর্যের আলো পড়ে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অথাৎ এক কথায় আমরা বলতে পারি সূর্যের তাপের সৌরশক্তি শোষণ করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে এই সোলার সিস্টেম।  সোলার প্যানেল কত প্রকার? সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনই হলো স