Skip to main content

নতৃন বিকাশ একাউন্ট (Bkash Account) খোলার নিয়ম

বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর শীর্ষে অবস্থান করছে বিকাশ। আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে জানাতে চেষ্টা করবো কিভাবে ঘরে বসে মাত্র কয়েক মিনিটেই একটি ভেরিফায়েড বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়ও যেকোন প্রয়োজনে অথবা সমস্যায় বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কিভাবে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করবেন। 


বিকাশ কি?

বিকাশ হলো বাংলাদেশের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং এর শীর্ষে থাকা একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। এটাকে অনেকটা ভাচ্যুয়াল ব্যাংকিং ও বলা যায়। একটি একাউন্ট এর মাধ্যমে অন্য একাউন্ট এ টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব। এছাড়াও নিজের একাউন্ট এ থাকা ক্যাশ বা ব্যালেন্স একজন উদ্যোক্ত একাউন্ট অথাৎ এজেন্ট একাউন্ট এ ক্যাশ আউট করার মাধ্যমে নগদ টাকা হাতে পাওয়া যায়। বিকাশ মূলত ব্র্যাক ব্যাংক এর একটি ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান। 

ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে?

ঘরে বসে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে যা যা লাগে: 

  • প্রথমত প্রয়োজন একটি সচল মোবাইল ফোন এবং একটি সচল মোবাইল নম্বর
  • সচল মোবাইলটিতে ইন্টারনেট কানেকশন
  • স্মাটফোন এ বিকাশ অ্যাপ ইন্সস্টল
  • জাতীয় পরিচয়পত্র / ভোটার আইডিকার্ড এর মূল কপি

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

নিজে নিজে ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিম্নে ঘরে বসে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খোলার কয়েকটি ধাপ বর্ণনা করা হলো। 
  • বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে বিকাশ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে অথবা গুগল প্লেস্টোর এ গিয়ে বিকাশ অ্যাপটি আপনার স্মাটফোন এ ইন্সষ্টল করতে হবে। 
  • অ্যাপটি আপনার ফোনে ইন্সস্টল করা হয়ে গেলে বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করুন। 
  • অ্যাপটি ওপেন করলে প্রথমেই লগইন এবং রেজিষ্ট্রেশন মেনু দেখতে পাবেন। 
  • এবার আপনি রেজিষ্টেশন মেনুতে ক্লিক করুন। 
  • এবার প্রদর্শিত ফরম এ আপনি যেই মোবাইল নম্বর দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেই মোবাইল নম্বরটি বসিয়ে পরবর্তী ধাপে ক্লিক করুণ। 
  • এবার আপনার মোবাইল ফোন এ একটি OTP প্রেরণ করা হবে। উক্ত OTP ওটিপি যাচাইকরণ ঘরে বসিয়ে সাবমিট করুণ। 
  • এবার আপনার সামনে একটি নতুন ইন্টারফেস প্রদর্শিত হবে। এখানে লক্ষ্য করুণ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রথম ও শেষ পাতা চাওয়া হয়েছে। 
  • এবার আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রথম এবং শেষ পাতাটি সুন্দর ভাবে মোবাইল দিয়ে স্ক্যান / ছবি তুলে দিন। 
  • জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই করার পর এবার আপনার নিজের ছবি অথাৎ আপনার ফেস চাওয়া হবে। 
  • এবার আপনি আপনার নিজের ফেস দিন মোবাইল এর সেলফি ক্যাম অথবা ফন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করে। 
  • তারপর আপনার সামনে একটি পাসওয়ার্ড সেট এর স্কিন প্রদর্শন করানো হবে। এবার আপনি আপনার ইচ্ছে মতো পাচটি সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিন। 
  • সাবমিট করুণ। তাহলেই আপনার একটি ভেরিফায়েড বিকাশ একাউন্ট ওপেন হয়ে গেল। 

বিকাশ অ্যাপ

বিকাশ অ্যাপ হলো একটি অ্যানড্রয়েড ভার্সন। মোবাইল এর ডায়েল কোড ব্যবহার করেও বিকাশ ব্যবহার করা যায়। তবে অ্যাপ ভার্সন সবচেয়ে সহজ। এখন আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনি আপনার স্মাটফোন এ অ্যাপটি ইন্সস্টল করে নিন। 

বিকাশ লাইভ চ্যাট

ধরুণ আপনি একটি বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন।একাউন্ট এর যেকোন সমস্যায় আপনি বিকাশ লাইভ চ্যাট এ যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন। হ্যা এটাও সম্ভব। আপনি যদি বিকাশ লাইভ চ্যাট করতে চান তাহলে আপনি প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করুণ। তারপর লাইভ চ্যাট মেনুতে গিয়ে আপনার সমস্যাগুলো জানান। লাইভ চ্যাট থেকে আপনার প্রতিটি জিজ্ঞাসার যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপ্লাই করবে কর্তৃপক্ষ থেকে। 

বিকাশ হেল্প লাইন

বিকাশ বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষে থাকা একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্লাটফরম। আমরা যাতে সহজ এবং কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া বিকাশ ব্যবহার করতে পারি তারজন্য বিকাশ এর একটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া আছে। বিকাশ এর হেল্প লাইন নম্বর হলো 16247 । আপনি যেকোন প্রয়োজনে এই বিকাশ হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রথমে মোবাইল ফোন থেকে ডায়েল করুণ বিকাশ হেল্প লাইন নম্বর। তারপর কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে 0 বাটন চাপুন। 

বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম

আপনার যদি একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বিকাশে টাকা দেখার নিয়ম জানা দরকার। বিকাশের টাকা দুটি উপায়ে দেখা যায়। অথাৎ বিকাশ একাউন্ট এ আপনার কত ব্যলেন্স রয়েছে তা দুটি ভাবে আপনি দেখতে পারবেন। প্রথম মতো একটি ডায়েল কোড ব্যবহার করে আর আরেকটি হলো অ্যাপ ব্যবহার করে। আপনি যদি ডায়েল কোড ব্যবহার করেন তাহলে প্রথমে আপনাকে *247# কোডটি ডায়েল করতে হবে। এরপর আপনাকে ব্যালেন্স চেক অপশনে যেতে হবে। তারপর আপনার পিনটি বসাতে হবে। তাহলেই আপনার ব্যালেন্সটি প্রদর্শিত হবে। আর আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যালেন্স চেক করতে উপরের দিকে ব্যালেন্স চেক ট্যাব এ ক্লিক করুণ। তাহলেই আপনি আপনার একাউন্ট এর ব্যালেন্স জানতে পারবেন। 

বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ

বিকাশ থেকে বিকাশ এ সেন্ড মানিতে চার্জ শুধুমাত্র ৫ টাকা। এছাড়াও বিকাশ থেকে এজেন্ট এ ক্যাশ আউট চার্জ প্রতি হাজারে ১৮.৫০ টাকা। তবে প্রিয় নম্বরে বিকাশ চার্জ অনেকটা শিথিলযোগ্য। অথাৎ প্রিয় নম্বরে বিকাশ চার্জ ১৪.৫০ টাকা হারে প্রযোজ্য হয়। 

বিকাশ থেকে লোন

বিকাশ মূলত একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। তবে সম্প্রতি বিকাশ ক্ষুদ্রাকৃতির একটি ভাচ্যুয়াল লোন সার্ভিস চালু করেছে। বিকাশ থেকে এই লোন নিতে হলে অবশ্যই গ্রাহক একাউন্টটি KYC ভেরিফায়েড একাউন্ট হতে হবে। বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনি প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করে লোন ট্যাব এ প্রবেশ করুণ। এরপর আপনি যদি বিকাশ লোন এর ইলিজিবল হয়ে থাকেন তাহলে স্কিনে প্রদর্শিত হবে। সকল নিয়ম ও শর্তাবলী মেনে আপনি লোন এ ইলিজিবল হলে লোনও নিতে পারেন। 

বিকাশ ডায়েল কোড কত?

অনেকেই আছেন বিকাশ ডায়েল কোড এর মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকেন। বিকাশ এর ডায়েল কোড হলো 247

শেষ কথা

উপরোক্ত সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি নিজেই ঘরে বসে একটি ভেরিফায়েড বিকাশ একাউন্ট ওপেন করতে পারেন এবং নিশ্চিন্তে লেনদেন করতে পারেন। যদি কখনও কোন সমস্যায় পড়ে তাহলে উপরোক্ত আলোচিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার, বিকাশ লাইভ চ্যাট এ কথা বলে সমস্যার সমাধান করে নিতে পারেন।

Comments

Popular posts from this blog

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড ও উপায় (দুটি পদ্ধতিতে)

বাংলালিংক হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা একটি বৃহৎ মোবাইল সিম অপারেটর কোম্পানী। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রায় ৭০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনই একাধিক সিম কোম্পানীর সিম কার্ড ব্যবহার করেন। অনেকেই আছেন অন্যান্য দেশীয় সিম অথবা অন্য যে কোন কোম্পানীর সিম ব্যবহার করেন, পাশাপাশি একটি বাংলালিংক সিম কার্ডও ব্যবহার করেন। অনেক সময় এই সিমকার্ড বন্ধ থাকার কারণে উক্ত সিম কার্ড এর নাম্বার আমরা ভুলে যাই। তখন আমড়া বিড়ম্বনায় পড়ে যাই এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হই। আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো পুরানো বা বন্ধ সিম অথবা ভুলে যাওয়া বাংলালিংক সিম কার্ড এর নম্বর আমরা কিভাবে দেখতে পারি।  বাংলালিংক নাম্বার চেক আপনারা  যারা বাংলালিংক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা দুটি পদ্ধতিতে বাংলালিংক নাম্বার চেক করতে পারবেন। তার একটি হচ্ছে ডায়েল কোড এবং অন্যটি হচ্ছে কল দিয়ে। ডায়েল কোড এবং কল দিলে দুটি উপায়েই বাংলালিংক নাম্বার চেক করা যাবে। কিভাবে আপনি ডায়েল কোড ও কল দিয়ে নাম্বার চেক করতে পারবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো। বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড বাংলালিংক নাম্বার চেক করার যতগুলো পদ্ধতি

17 Easy Remote Jobs You Can Start Today (With No Experience)

With the rise of remote work, more and more people are looking for opportunities to work from home. However, finding a remote job that doesn't require prior experience can be challenging. That's why we've compiled a list of 17 easy remote jobs that you can start today, even if you don't have any experience. These jobs range from customer service to data entry to virtual assistance and more. They are perfect for those who want to work from home, have flexible schedules, and don't want to spend years studying or training for a new career. With the right skills and a willingness to learn, anyone can start these jobs and earn a decent income from the comfort of their own home. Understanding Remote Work Remote work is a work arrangement where an employee works outside the traditional office environment. This can be from home, a co-working space, or any location with a stable internet connection. Remote work is becoming increasingly popular, and

সোলার প্যানেল (Solar Panel) ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা ও দাম

সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়িনিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প মাধ্যম। কম বেশি আমরা সবাই জানি সোনাল প্যানেল সূর্যের তাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। সোলার প্যানেল যেমন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা আছে, তেমনি আবার এটি ব্যবহারে বেশ অসুবিধাও রয়েছে। এটি ব্যবহার বা কিনতে হলে কত টাকার প্রয়োজন হবে; আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।  সোলার প্যানেল (Solar Panel) কি? সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়নিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্নের বিকল্প একটি মাধ্যম। অথাৎ সূর্য্যের তাপ কে ফটোভোলটাইক এ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার মাধ্যমই হলো সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেল শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলোকে শোষণ করে। সোলার প্যানেল সূর্যের তাপশক্তি শোষণ করে বৈদ্যুতিক প্রবাহ  তৈরি করে। মূলত একটি গ্লাস লেয়ারের সাথে ইন্সুলেট লেয়ার এবং প্রতিরক্ষামূলক সীট এর সমন্বয়ে সোলার প্যানেল তৈরি হয়। যার উপর সূর্যের আলো পড়ে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অথাৎ এক কথায় আমরা বলতে পারি সূর্যের তাপের সৌরশক্তি শোষণ করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে এই সোলার সিস্টেম।  সোলার প্যানেল কত প্রকার? সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনই হলো স