Skip to main content

5 Ways to Protect Facebook Account (Security Updates)

আপনার ফেসবুক একাউন্ট কি হ্যাকারের হ্যাকিং এর শিকার অথবা কেউ আপনার ফেসবুক একাউন্ট / আইডি গোপনে চালাচ্ছে। বুঝবেন কিভাবে, কি করবেন ! ফেসবুক কি যদি বলা হয় তাহলে মনে হয় বাচ্ছা থেকে ‍বুড়ো এক কথায় বলে দিবে ফেসবুক একটা সোস্যাল সাইট। আর এই সোস্যাল সাইট এ হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ নয় বরং গোটা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। কেউ কেউ আছেন এই ফেসবুকেই দিনের বেশির ভাগ সময়টা বন্ধু, আত্মীয়স্বজন বা পরিচিত কারো সাথে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা আদান প্রদান করে সময় কাটিয়ে থাকেন। আবার যদি প্রেমিক-প্রেমিকার কথা বলা হয় তো কথাই নেই। দিন-রাত ব্যস্ত তারা চ্যাটিং এ। বলাই যেতে পারে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে রীতি মতো আসক্ত হয়ে পড়েছেন ফেসবুক ব্যবহারে বিশ্বের কোটি মানুষ।
 

তাই দিন দিন নতুন নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হচ্ছে এই সোস্যাল মিডিয়ায় অথাৎ ফেসবুকে। তবে এই ফেজবুক ব্যবহারকারী অথাৎ ইউজারদের মধ্যে বেশির ভাগিই জানেন না এর সিকিউরিটির ব্যাপারে। তাই খুব স্বভাবতই অনেকেরই ফেজবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর শিকার হয়। অথাৎ যেমনটা দিন দিন ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বাড়তে ঠিক তেমনি অ্যাকাউন্টে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য, সামাজিক বা ব্যবসায়িক অথবা ব্যক্তিগত তথ্য চুরির জন্য অ্যাকাউন্ট অনেক ক্ষেত্রেই হ্যাকাদের লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছে।

Facebook Security Tips

ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং থেকে রক্ষার করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু পন্থা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো।

পাসওয়ার্ড: প্রথমেই বলবো আপনার ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ডটি একটু কঠিন কিছু ব্যবহার করুন। অথাৎ ছোট বড় অক্ষর, নম্বর এবং অন্ততপক্ষে ১/২টি স্পেশাল কি ব্যবহার করে কমপক্ষে ৮টি সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিন। যাতে আপনার পরিচিত কেউ বা হ্যাকার অথবা যে কেউ আইডিয়া করতে না পারে আপনি সাধারণত কি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন। কখনই ফেজবুক পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের বা আপনার ঘনিষ্ঠ কারো নাম, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর এসব ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।
লগইন:

সাধারণত ফেসবুকের লগইন তথ্য ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও ব্যবহার না করাই ভালো। অনেক সময়ই দেখা যায় হ্যাকাররা স্ক্যামার, ভুয়া, ফেক অথবা হ্যাকিং ওয়েবসাইট তৈরি করে কিছু লিংক সরাসরি আপনাকে মেসেজ করতে পারে। কখনেই আপনার জানা ছাড়া এ ধরনরে কোন লিংকে এ ক্লিক করে যদি ফেসবুক লগইন করতে বলা হয় তাহলে তা করবেন না। বরং সরাসরি www.facebook.com ভিজিট করে অথবা ফেসবুক অ্যাপ ও সরাসরি লগইন করে ব্যবহার করুণ।

ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখা:

সব সময় ফোনের ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ চালু না রাখাই ভালো। হ্যাকাররা সাধারণত এ ধরনের সুযোগ খোজে। সব সময় ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ জালু রাখলে আপনার আশেপাশের অপরিচিত ব্যক্তিরাও চেষ্টা চালাবে আপনার ফোনের মধ্যে কি আছে সেটা দেখার। সব সময় ওয়াই-ফাই চালু রাখলে আপনি কোন কোন নেটওয়ার্কে বা সাইটে ভিজিট করেছেন তা হ্যাকাররা জানতে পারবে। আর তার সূত্র ধরেই আপনার একাউন্টটি হ্যাক করার ফাদ পাতবে। বাই আপনার ব্যবহার সময় ছাড়া ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ বন্ধ রাখাই ভালো।
 
দুই স্তরের নিরাপত্তা চালু রাখা:

দুই স্তরের নিরাপত্তা মানে হচ্ছে আপনি যখন আপনার ফেসবুক একাউন্টটি লগইন করবেন তখন স্মাটফোন বা মোবাইল ফোন এসএমএস লেবিফিকেশন কোড অথবা ইমেইল ভেরিফিকেশন কোড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট লগইন করা সিস্টেম। এই নিরাপত্তার জন্য প্রথমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সেটিং অপশনে যান। এরপর Security & Login বাটনে ক্লিক করবেন। দেখবেন আপনার সামনে নতুন একটি স্কিন প্রদর্শন করা হবে। এবার আপনি Use two-Factor-authentication অপশন এ ক্লিক করে আপনার ইচ্ছে মন Authentication App অথবা Text Message (SMS) এর যেকোন একটি সার্ভিস চালু করে নিন। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে Authentication App কে রিকমান্ড করা হয়েছে। তবে আপনি চাইলে যেকোনটি একটি চয়েস করতে পারেন। সাধারণত বেশিরভাগ ইউজার ই Text Message (SMS) বেশি ব্যবহার করে থাকেন। এই দুই স্তর নিরাপত্তা ব্যবহার করার সুভিদা হলো কেউ আপনার পাসওয়ার্ডটি জেনে গেলেও আপনার আইডিটি লগইন করার সময় উক্ত Authentication App অথবা Text Message (SMS) যেটি ব্যবহার করেছেন সেটির কোড চাইবে। উক্ত কোনটি বসাতে পারলে তবেই একাউন্ট লগইন হবে। তাহলে বুঝতে পারছেন একাউন্ট এর নিরাপত্তায় এটি চালু করার প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং থেকে রক্ষার্থে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা:

ফেসবুক ব্যবহারের সময় যদি কখনও আপনার মনে হয় আপনার একাউন্টটি অন্য কেউ ব্যবহার করছে তাহলে আপনি তাৎক্ষনিক আপনার আইডির পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে ফেলুন। এছাড়াও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আরেকটি ভালো পরামর্শ হলো দুই তিন মাস পর পর আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে দিন।

শেষ কথা:

শুধু ফেসবুক ব্যবহার করলেই হবে না এর নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের জানা খুবই জরুরী বলে মনে করি। উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখলেই আমরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর হাত থেকে রক্ষা করে খুব সহজেই নিরাপত থাকতে পারি।

Comments

Popular posts from this blog

বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড ও উপায় (দুটি পদ্ধতিতে)

বাংলালিংক হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা একটি বৃহৎ মোবাইল সিম অপারেটর কোম্পানী। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রায় ৭০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনই একাধিক সিম কোম্পানীর সিম কার্ড ব্যবহার করেন। অনেকেই আছেন অন্যান্য দেশীয় সিম অথবা অন্য যে কোন কোম্পানীর সিম ব্যবহার করেন, পাশাপাশি একটি বাংলালিংক সিম কার্ডও ব্যবহার করেন। অনেক সময় এই সিমকার্ড বন্ধ থাকার কারণে উক্ত সিম কার্ড এর নাম্বার আমরা ভুলে যাই। তখন আমড়া বিড়ম্বনায় পড়ে যাই এবং অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হই। আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা জানবো পুরানো বা বন্ধ সিম অথবা ভুলে যাওয়া বাংলালিংক সিম কার্ড এর নম্বর আমরা কিভাবে দেখতে পারি।  বাংলালিংক নাম্বার চেক আপনারা  যারা বাংলালিংক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা দুটি পদ্ধতিতে বাংলালিংক নাম্বার চেক করতে পারবেন। তার একটি হচ্ছে ডায়েল কোড এবং অন্যটি হচ্ছে কল দিয়ে। ডায়েল কোড এবং কল দিলে দুটি উপায়েই বাংলালিংক নাম্বার চেক করা যাবে। কিভাবে আপনি ডায়েল কোড ও কল দিয়ে নাম্বার চেক করতে পারবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো। বাংলালিংক নাম্বার চেক করার কোড বাংলালিংক নাম্বার চেক করার যতগুলো পদ্ধতি

17 Easy Remote Jobs You Can Start Today (With No Experience)

With the rise of remote work, more and more people are looking for opportunities to work from home. However, finding a remote job that doesn't require prior experience can be challenging. That's why we've compiled a list of 17 easy remote jobs that you can start today, even if you don't have any experience. These jobs range from customer service to data entry to virtual assistance and more. They are perfect for those who want to work from home, have flexible schedules, and don't want to spend years studying or training for a new career. With the right skills and a willingness to learn, anyone can start these jobs and earn a decent income from the comfort of their own home. Understanding Remote Work Remote work is a work arrangement where an employee works outside the traditional office environment. This can be from home, a co-working space, or any location with a stable internet connection. Remote work is becoming increasingly popular, and

সোলার প্যানেল (Solar Panel) ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা ও দাম

সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়িনিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প মাধ্যম। কম বেশি আমরা সবাই জানি সোনাল প্যানেল সূর্যের তাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। সোলার প্যানেল যেমন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা আছে, তেমনি আবার এটি ব্যবহারে বেশ অসুবিধাও রয়েছে। এটি ব্যবহার বা কিনতে হলে কত টাকার প্রয়োজন হবে; আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো।  সোলার প্যানেল (Solar Panel) কি? সোলার প্যানেল হচ্ছে রাসায়নিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্নের বিকল্প একটি মাধ্যম। অথাৎ সূর্য্যের তাপ কে ফটোভোলটাইক এ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার মাধ্যমই হলো সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেল শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলোকে শোষণ করে। সোলার প্যানেল সূর্যের তাপশক্তি শোষণ করে বৈদ্যুতিক প্রবাহ  তৈরি করে। মূলত একটি গ্লাস লেয়ারের সাথে ইন্সুলেট লেয়ার এবং প্রতিরক্ষামূলক সীট এর সমন্বয়ে সোলার প্যানেল তৈরি হয়। যার উপর সূর্যের আলো পড়ে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অথাৎ এক কথায় আমরা বলতে পারি সূর্যের তাপের সৌরশক্তি শোষণ করে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে এই সোলার সিস্টেম।  সোলার প্যানেল কত প্রকার? সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনই হলো স